সোমবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ০৭:৫৭
ইরানি জাতি শত্রুর ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় অদম্য প্রাচীর

পূর্ব আজারবাইজানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি আলেম আহমাদ মুতাহারী আছ্ল বলেছেন, “গত চার দশকের নানা ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইরানি জাতি সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী প্রতিরোধের প্রাচীর হিসেবে কাজ করেছে।” তিনি জনগণের ভূমিকা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের অগ্রগতি ও টিকে থাকার প্রধান ভিত্তি বলে উল্লেখ করেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: তাবরিজে শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, সামাজিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক চাপ ও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা—সবই জনগণের সচেতন উপস্থিতির কারণে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণেই ইমাম খোমেনি ও দেশের সর্বোচ্চ নেতা সর্বদা জনগণের ওপর আস্থা রেখেছেন এবং তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেননি—যদিও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সমালোচনা করেছেন।”

মুতাহারী-আছল বলেন, “ইরানি জনগণ খালি হাতে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজতন্ত্রকে উৎখাত করে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন এক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে যেখানে ধর্মীয় নেতৃত্ব ও গণতন্ত্র পাশাপাশি রয়েছে—যার দৃষ্টান্ত বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।”

তিনি আরও বলেন, “বহিরাগত আগ্রাসন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক অস্থিরতা—সবক্ষেত্রেই জনগণ ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি অপরাধী গোষ্ঠীগুলোও জনগণের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সাহস করেনি।”

তাবরিজের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “তাবরিজ বিশ্বব্যাপী আজারিদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। সদাচার, অতিথিপরায়ণতা ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য এই শহরের বিশেষ পরিচয়। বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও সভ্যতার ক্ষেত্রেও শহরটি শীর্ষস্থানে রয়েছে। এর উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও গণমাধ্যমকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নেতিবাচক প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে জাতীয় আদর্শ ও বিপ্লবী মূল্যবোধ শক্তিশালী করার ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”

নারীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ধর্মনিষ্ঠ ও শালীন নারীরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অন্য নারীদের নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি উৎসাহিত করতে পারেন। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নারীদের জন্য মুক্ত চিন্তার আসর আয়োজন করা জরুরি।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha